হনুমানের মৃত‍্যু দুর্ঘটনায় : বনদপ্তরের কর্মীরা দেরিতে আসায় রাস্তা অবরোধ

28th April 2021 9:33 pm বর্ধমান
হনুমানের মৃত‍্যু দুর্ঘটনায় : বনদপ্তরের কর্মীরা দেরিতে আসায় রাস্তা অবরোধ


আমিরুল ইসলাম ( বর্ধমান ) :  দুর্ঘটনায় হনুমান জখম হওয়ার দীর্ঘ সময় পরে হনুমানটিকে উদ্ধার করতে আসে  বনদপ্তরের কর্মীরা । ততক্ষণে পথেই মারা যায় হনুমানটি ।  এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার বেলায় পূর্ব বর্ধমানের ভাতার- আউশগ্রাম সিমান্তে শিবদা বাস স্ট্যান্ডের কাছে জাতীয় সড়কপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো হনুমান ভক্তরা ।  বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন ,বনদপ্তরের কর্মীরা দ্রুত হনুমানটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে হনুমানটি বেঁচে যেত । বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ বিক্ষোভ চলার পর  গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ সামাল দেয় । এরপর অবরোধ উঠলে ২ বি জাতীয় সড়কে স্বাভাবিক হয় যানবাহন চলাচল ।   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হনুমানটি এদিন সকালে ৯টা  নাগাদ শিবদা বাস স্ট্যান্ড এলাকায়  ঘোরাঘুরি করছিল। তার পর হঠাৎতই হনুমানটি ২-বি জাতীয় সড়ক পার হতে যায়।তখনই বর্ধমান থেকে গুসকরারগামী  একটি দ্রুতগতির চারচাকা গাড়ির হনুমানটিকে  সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।  এই দুর্ঘটনায় হনুমানটি  গুরুতর জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে । স্থানীয় জিন্না শেখ , সাহা প্রমুখরা বলেন ,এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পরেই এলাকার বাসিন্দারা হনূমানটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য গুসকরা বনদপ্তরে খবর দেন । পাশাপাশি হনুমান ভক্ত এলাকার বাসিন্দারা হনুমানটিকে সুস্থ কার জন্যে তার  সেবা-শুশ্রূষা করে চলেন। কিন্ত তারা হনুমানটিকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন । ঘন্টা দেড়েক পরে সেখানেই হনুমানটি মারা যায় । এর আধ ঘন্টা পর বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালে হনুমান ভক্ত এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা  জাতীয় সড়কের উপরেই  হনুমানটির মৃতদেহ ফেলে রেখে পথ অবরোধ শুরু করে দেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠলে পরে ধর্মীয় রীতি মেনে হনুমানটির মৃতদেহ সমাধিস্ত কারা  ব্যবস্থা শুরূ  হয় । 

 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।